নিঝুম দ্বীপের কাঁকড়া রপ্তানী!

নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে প্রধান সড়ক ঘেষে বেশ কয়েকটি পুকুর জাল দিয়ে ঘেরা। এগুলো কাঁকড়া চাষের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি। শুধু এই এলাকায় নয়, নিঝুমদ্বীপের প্রতিটি গ্রামে এই দৃশ্য।

নদী, খাল থেকে ছোট ছোট কাঁকড়া আহরণ করে তা বড় করার প্রয়াস এটি। কোনও রকম প্রশিক্ষণ ছাড়া নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই কাঁকড়া চাষ করেন খামারীরা। নিঝুম দ্বীপরে এই কাঁকড়া রাজধানী ঢাকা হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

কাঁকড়া চাষীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, হাতিয়ায় দশ হাজার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে কাঁকড়া চাষ। কম খরচে, অল্প জায়গায়, অধিক উৎপাদন হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কাঁকড়া চাষে।

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে বিদেশে। তবে জলদস্যু, প্রশিক্ষণ আর ঋণ সুবিধার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কাঁকড়া চাষ। হাতিয়ায় কাঁকড়া চাষে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। অল্প খরচে ভালো লাভ হওয়ায় নতুন করে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন জেলার অনেকে।

এখানকার কাঁকড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশে। কাঁকড়া চাষে অতিরিক্ত খাদ্য ও ওষুধ দিতে হয় না বলে জানান নিঝুম দ্বীপের সিডিএসপি বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন।

হাতিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায়, নিঝুম দ্বীপ ছাড়াও নতুন করে জেগে ওঠা বিভিন্ন চরে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা কাঁকড়া মহল থেকে বার মাসই কাঁকড়া আহরণ করছেন শিকারীরা। এর মধ্যে বড় কাঁকড়া বাজারে পাঠিয়ে দিয়ে ছোটগুলো ঘেরে ১৫/১৬ দিন রেখে বড় করে রপ্তানিযোগ্য করা হয়।

নিঝুমদ্বীপে অনেক পরিবার রয়েছেন যারা শুধু কাঁকড়া ছাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। বৎসরের ১২ মাস তারা এই পেশার সাথে জড়িত থাকেন। রপ্তানিযোগ্য হওয়ায় কাঁকড়ার চাষ বাড়াতে ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে প্রশিক্ষন ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেয়ার দাবী স্থানীয়দের।

আকার অনুযায়ী কাঁকড়াকে বিভিন্ন গ্রেডে ভাগ করা হয়। প্রতি কেজি বিক্রয় করা হয় আকারভেদে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। জলদস্যু আর ডাকাতের কারনে নিরাপদে কাঁকড়া আহরন করতে পারেনা শিকারীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে কাঁকড়া উৎপাদন।

এ ব্যপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোতালেব হোসেন বলেন, কাঁকড়া চাষ একটি নতুন পেষা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, ঋণ সুবিধা এবং নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে পারলে কাঁকড়া থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।

তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন ডটকম।

শেয়ার করুন:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

সম্পর্কিত পোস্ট

দেড়শ নারীকে স্বাবলম্বী করছেন ফেরদৌসি পারভীন!

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি নারীদের একটা অংশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পুঁজির অভাবে অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারছে না। থামি. পিননসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রস্তুত করতে

উদ্যোক্তাদের জন্য মানসিক চাপ কমানোর কিছু পন্থা

আমরা আজকে উদ্যোক্তাদের জন্য আলোচনা করবো মানসিক চাপ কমানোর পন্থা নিয়ে কারন উদ্যোক্তারা অনেকেই মানসিক চাপ নিয়ে তার উদ্যোগ কে সফলার দিকে নিয়ে যেতে পারে

বাড়ির ছাদে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী রায়হান!

‘পরিবারে কোনো আর্থিক অনটন ছিল না। পড়েছি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই আমার মতো ছেলে কেন ছাগল পালন করবে, এটাই ছিল মানুষের আপত্তির কারণ। কিন্তু মানুষের সেসব