ধারের ৬০০ টাকা দিয়ে শুরু মাজিদা শাহরিয়া দিপুর

করোনা কালিন সময়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যান মাজিদা শাহরিয়া দিপু। সেখানে গিয়ে লক ডাউনে আটকা পড়েন। তখন তার এক বান্ধবী তাকে ‘উই’তে যুক্ত করেন। সেখান থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার ভাবনাটা তার মাথায় আসে। ৬০০ টাকা ধার করে উদ্যোগ শুরু করেন। কখনো কোথাও চাকরি করেননি তিনি।

৮-১০ ধরনের হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লক, বাটিক তাতের শাড়ি এবং কুমিল্লার খাদি পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করছেন। ১ জন কর্মী নিয়ে কাজ করছেন। ‘ধুতুরাফুল’ নামে অনলাইনে উদ্যোক্তার একটি পেইজ আছে। বিদেশে তার করা হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ি গিয়েছে আমেরিকা, লন্ডন, সৌদি আরব এই ৩টা দেশে গিয়েছে। দেশের ভেতর ১৫টি জেলায় তার পন্য যায়। মাসে ১৫ থেকে ৩০টার পণ্য উৎপাদন করা হয় যেহেতু পেইন্টিং এর কাজ সময়সাপেক্ষ। মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো পণ্য বিক্রি হয়।

নিজের কাজ সম্পর্কে উদ্যোক্তা বলেন, ‘পেইন্টিং-এর নেশা আমার ছোটবেলা থেকেই। ২০০৫ সালে প্রথম হ্যান্ডপেইন্টের কাজ করেছিলাম তারপর থেকে বন্ধ ছিলো। ২০২০ সাল থেকে আবার শুরু করি। কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আসা। কাজ শুরু করার পর থেকে আমার এমন কোন সময় যায়নি যে আমি বসে ছিলাম। খুব ইচ্ছে আমার একটা কারখানা হবে যেখানে অনেক মানুষ কাজ করবে। পুরো বাংলাদেশে আমার কাজ যাবে। নতুনদের বলবো প্রতিটি মানুষের প্রতিভা থাকে। নিজের প্রতিভা বের করতে হবে সময়কে কাজে লাগাতে হবে আর সেটা বাস্তব রূপ দিতে হবে। আমি তখনই সফল যখন কেউ আমাকে অনুকরণ করবে।’
শেরপুর শহরের দূর্গানারায়নপুরে জন্ম মাজিদা শাহরিয়া দিপুর। সেখানেই বড় হওয়া। বাবা আব্দুল জলীল হাছান ও মা দিলারা নাজনীন দিনার ৪ সন্তানের মধ্যে তিনি ৩য়। দূর্গানারয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শেরপুর সরকারি গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনোমিকস ঢাকা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

শেয়ার করুন:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

সম্পর্কিত পোস্ট

দেড়শ নারীকে স্বাবলম্বী করছেন ফেরদৌসি পারভীন!

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি নারীদের একটা অংশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পুঁজির অভাবে অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারছে না। থামি. পিননসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রস্তুত করতে

উদ্যোক্তাদের জন্য মানসিক চাপ কমানোর কিছু পন্থা

আমরা আজকে উদ্যোক্তাদের জন্য আলোচনা করবো মানসিক চাপ কমানোর পন্থা নিয়ে কারন উদ্যোক্তারা অনেকেই মানসিক চাপ নিয়ে তার উদ্যোগ কে সফলার দিকে নিয়ে যেতে পারে

বাড়ির ছাদে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী রায়হান!

‘পরিবারে কোনো আর্থিক অনটন ছিল না। পড়েছি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই আমার মতো ছেলে কেন ছাগল পালন করবে, এটাই ছিল মানুষের আপত্তির কারণ। কিন্তু মানুষের সেসব