ড্রাগন ফল চাষে ১ বছরে আয় ১২ লাখ টাকা!

দেশি ফল চাষের পাশাপাশি ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বান্দরবানের জুমচাষী তোয়ো ম্রো। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে তিনি দুই লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন, বাগানে রয়েছে আরও কমপক্ষে তিন থেকে চার লাখ টাকার ফল।

২০১৬ সালে অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবেই ড্রাগন চাষ শুরু করেন বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের জুমচাষী তোয়ো ম্রো। প্রথমে তিনি তিনশ’ ড্রাগন চারা রোপনের মাধ্যমে এর চাষ শুরু করেন পাহাড়ের জমিতে।

সফলতা পেয়ে উৎসাহ বেড়ে যায় জুমচাষী তোয়ো ম্রোর। বর্তমানে তিন একর জায়গায় মোট ৬ হাজার ড্রাগন গাছ রয়েছে তার। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ড্রাগন গাছে ৫ থেকে ৬ বার ফলন আসে।

চলতি মৌসুমের জুন পর্যন্ত তিন বার ফল বিক্রি করে দুই লাখ টাকার মত আয় করেছেন চাষী তোয়ো ম্রো । এখনো আরো ৪ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন তার বাগান দেখতে আসেন। কৃষকরা এসে প্রশিক্ষণও নেন তার কাছে। অনেক সময় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার লোকজনও আসেন তার বাগান কৌশল জানতে।

তোয়ো ম্রোকে একজন আদর্শ কৃষক বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক। তিনি জানান, লোকজনকে বিনামূল্যে দেশি-বিদেশি ফলজ চারা বিতরণের মাধ্যমে চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন তিনি।

শুধু বান্দরবান নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক উৎসাহী লোকজন আসেন তার বাগানে। গত দুই বছরে দেশের বিভিন্ন জেলার ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তোয়ো ম্রো।

শেয়ার করুন:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

সম্পর্কিত পোস্ট

দেড়শ নারীকে স্বাবলম্বী করছেন ফেরদৌসি পারভীন!

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি নারীদের একটা অংশ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পুঁজির অভাবে অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারছে না। থামি. পিননসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রস্তুত করতে

উদ্যোক্তাদের জন্য মানসিক চাপ কমানোর কিছু পন্থা

আমরা আজকে উদ্যোক্তাদের জন্য আলোচনা করবো মানসিক চাপ কমানোর পন্থা নিয়ে কারন উদ্যোক্তারা অনেকেই মানসিক চাপ নিয়ে তার উদ্যোগ কে সফলার দিকে নিয়ে যেতে পারে

বাড়ির ছাদে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী রায়হান!

‘পরিবারে কোনো আর্থিক অনটন ছিল না। পড়েছি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই আমার মতো ছেলে কেন ছাগল পালন করবে, এটাই ছিল মানুষের আপত্তির কারণ। কিন্তু মানুষের সেসব